সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
সৈয়দ রায়হান বিপ্লব ষ্টাফ রিপোর্টার : কথায় আছে- মেয়েরা বাবার বাড়ি ত্যাগ করে লাল কাপড় পড়ে, আর স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয় সাদা কাপড় পড়ে। স্বামীর বাড়ি থেকে সেই যে বের হওয়া, শত চেষ্টায় তাকে আর কেউ কখনই ফেরাতে পারেনা। এটাই হচ্ছে একজন বাঙালি নারীর চিরচেনা পতিশ্রদ্ধাবোধ। ঠিক এমনি এক স্বপ্ন দেখেছিল গাজিপুর পোশাক কারখানার শ্রমিক, যশোর জেলার কেশবপুর থানার হরিরামপুর গ্রামের ওদুদ আলীর কন্যা খায়রুন নাহার (২০)। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রথমে প্রেম এবং পরে সরল বিশ্বাসে বিয়ে করে ফেলেন একই কারখানায় কর্মরত পোশাক-শ্রমিক রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কাঞ্চনগাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র সাব্বির হোসেন (২৩) কে। নামকাওয়াস্তের এ বিয়েতে যেন গোপনেই ঘটে গেল বয়সের উদ্দীপ্ততার কাছে আবেগের পরাজয়। যেমন বর ঠিক তেমনি মৌলভী আর বন্ধু-বান্ধবদের সাক্ষী দিয়েই সম্পন্ন করা হলো বিয়ে। বিয়ের আগে ছেলে পক্ষের কোনপ্রকার খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টাই করলনা খাইরুন। সে কি জানত যে কয়েক বছর ধরেই স্ত্রীকে নিয়েই সাব্বির এই গাজিপুরে বাস করে আসছেন। কিন্তু ভুল কাজে আর কেউ সাড়া না দিলেও বিবেক কিন্তু তাড়না করে। বিষয়টা প্রকাশ পেল কাবিন নামা কাহিনীতে। স্বামী স্ত্রী হিসেবে গাজিপুর এ/পি বাসন সড়কের আমিন চৌধুরীর বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেই খায়রুন তার বিবাহের কাবিন নামার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে স্বামী রুপী সাব্বির কে। গত ৮মে ২০২০ইং তারিখে তিন লক্ষ টাকা দেনমহরে কাবিন নামা করেই নারী লোভী সাব্বির তার অহেতুক ঝগড়া লাগায় এবং স্ত্রীকে বে-ধরক ভাবে এলোপাথারি কিলঘুষি মারে। এমতাবস্থায় খাইরুন অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৯ মে ২০২০ সালে ২য় স্ত্রীর নগদ ৫০ হাজার টাকা কানের দুল, গলার চেন এবং হতের বালাসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে আসেন তার নিজ এলাকায়। এদিকে খায়রুন সাব্বিরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন কলে কথা বলতে চাইলেও সাব্বির খায়রুনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে । অভিযোগ সুত্রে আরও জানা যায় যে, প্রতারক ছাব্বিরের সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে সংসার করে আসছেন । কাগজ-কলমে ১১ দিনের সংসারের পর পালিয়ে যান তার নিজ এলাকায় । । উক্ত বিষয়টি নিয়ে গাজীপুর বাসন থানায় প্রথম ১৯-০৫-২০২০ এ একটি সাধারণ অভিযোগ ডাইরী করেন তার পরে আবারও সাধারণ অভিযোগ ডাইরী করেন ডাইরি নাম্বার ৮১০, তারিখ ৩০ মে ২০২০। এরপর বিষয়টি মিমাংসার জন্য একাদিক বার আলোচনা হয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তবে একাদিক বার আলোচনা পরেও সমাধান না হওয়ায় বতমান জেলা জজ আদালত( চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত) গাজীপুর, এ দুটি মামলা দায়ের করেছেন । এদিকে খায়রুন তার স্বামীর খোঁজে পীরগঞ্জ এসে এলাকার জনপ্রতিনিধি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিক শালিস করেও কোন মীমাংসা না হওয়ায় গাজিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটের আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামি সাব্বির গা ঢাকা দিয়েছে ।