jatiobarta com
- ১৮ জুন, ২০২০ / ৫৯৩ বার পঠিত
প্রতিনিধি পীরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের পীরগঞ্জে সরকারি কাজে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বাঁধার দেয়ার অভিযোগ করছেন ইউপি চেয়ারম্যন ফারুক আহম্মেদর। জানাগেছে পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দরপত্র আহবান করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পঃ পঃ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মান শুরু করলে কাজের বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সীমানা ঘেষে রোপন কৃত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উক্ত ইউপির চেয়ারম্যান এস এম ফারুক আহমদের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন। চেয়ারম্যান সীমানা প্রাচীর নির্মাণের স্বার্থে কেন্দ্র ক্যাম্পাসে অবস্থিত গাছগুলো অপসারণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে গত ০৩/০৬/২০২০ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা বন কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করলে বন কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া বিভিন্ন প্রজাতির ১৭টি গাছ কর্তনের সুপারিশ করে প্রতিবেদন ইউএনও বরাবর প্রেরণ করেন। ১০জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছসমুহ কর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে সংরক্ষন করার জন্য বলেন। পরবর্তীতে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুল্য নির্ধারন করে সরকারি মুল্যানুযায়ী বিক্রয় করে, বিক্রয়লব্ধ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করার কথা বলা হয়। এদিকে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মাজহারুল আনোয়ার মোর্শেদ ও ইউনিয়ন আ’লীগের বহিস্কৃত সভাপতি এস্তাক মিয়া পীরগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট মিথ্যে অভিযোগ করে বেশ কিছু গাছ থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ অভিযোগ করে বলেন ফ্রিডমপার্টি হয়ে বিএনপি এবং পরবর্তীতে আওয়ামীলীগে আসা মোর্শেদ ও বহিস্কৃত সভাপতি এস্তাক মিয়া বরাবরই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধার সৃষ্টি করে আসছেন। সেই সাথে তিনি দুঃখ করে বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী আসন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র আসনে যদি কোন আ’লীগের সভাপতি সরকারি কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সাধারন মানুষ যাবে কোথায়? যাবতীয় কাগজপত্র থাকা সত্বেও আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য গাছগুলো থানায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে পুলিশ প্রশাসনকে।
সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মাজহারুল আনোয়ার মোর্শেদ বলেন- ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাছগুলো কেটে পাচারের চেস্টা করছিল। এলাকাবাসী আমাকে জানালে আমি গিয়ে লোকজনসহ বাধা দেই এবং মুঠোফোনে থানায় অভিযোগ করি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে বলে জানালে তিনি বলেন ইউ এন ও’র এই গাছগুলো কাটার অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার নাই এ গাছের মালিকও উপজেলা প্রশাসন নয়। গাছগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তাদের অফিস রংপুরে। উপজেলা বন কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া জানান যথাযথ বিধি অনুসরন করে গাছগুলো কাটার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক চেয়ারম্যান গাছগুলো কর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে রেখেছেন। সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে সভাপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্রের কাছে গাছ জব্দ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির মুঠো ফোনের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টি এম এ মমিন বলেন- মিঠিপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের সীমনা প্রাচীর নির্মান ও জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে উপজেলা বন কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেন দাখিল করতে বলা হলে। তিনি সরেজমিনে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফলে গাছগুলো কেটে সরকারি উন্নয়ন কাজ চলমান রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে কমিটি গঠন করে গাছ নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করা হবে।