সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ
মেয়েদের কাছে বয়স জানতে চাইলে যেমন তারা বিব্রত হন, ঠিক তেমনি অভিনয়শিল্পীরা পারিশ্রমিকের কথা জানাতে সংকোচ বোধ করেন। তাঁদের কথায়, আয়ের বিষয়টি না জানানোর কারণ অনেক। তাই প্রযোজক-পরিচালক আর বেশ কয়েকটি সূত্রের সঙ্গে আলাপ করে চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের আয়ের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
শাকিব খান
১৫ থেকে ২৫ লাখ
শাকিব খান বড় পর্দায় আসেন ১৯৯৬ সালে। ২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবির মাধ্যমে তিনি শীর্ষ নায়কে পরিণত হন। মাত্র ২ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে তাঁর যাত্রা শুরু। ২০০৮ সালে এ দেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের তারকা হন তিনি। পারিশ্রমিকের পরিমাণ ছবি প্রতি প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এখন চলচ্চিত্রের দুঃসময়ের কথা চিন্তা করে ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকাতেও কাজ করে দিচ্ছেন তিনি।
অপু বিশ্বাস
৫ থেকে ৮ লাখ
নায়িকা হিসেবে অপুর যাত্রা ২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবির মাধ্যমে। প্রথম ছবিতে ৩ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেলেও এক সময় এই অঙ্ক বেড়ে ১০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়। বর্তমানে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকায় কাজ করছেন তিনি। পারিশ্রমিক কমানোর কারণ হলো চলচ্চিত্রের ব্যবসা এখন ভালো নয়।
আরেফিন শুভ
৮ থেকে ১০ লাখ
২০০৫ সালে ‘জাগো’ ছবিতে সহনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু শুভর। প্রথম ছবির পারিশ্রমিক উল্লেখ করার মতো না হলেও এরপর ২ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত নিতেন তিনি। বর্তমানে ছবি প্রতি প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকারও বেশি পারিশ্রমিক নেন তিনি।
পরীমণি
৮ থেকে ১২ লাখ
‘ভালোবাসা সীমাহীন’ পরীমণির প্রথম ছবিতে ২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পান। এরপর ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নিয়েছেন। জাজ মাল্টিমিডিয়ার যৌথ প্রযোজনার ‘রক্ত’ ছবির জন্য তিনি ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন বলে একটি সূত্রের দাবি। বর্তমানে তিনি ৮ থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিচ্ছেন বলে এক সূত্রে জানা গেছে।
বিদ্যা সিনহা মিম
৮ থেকে ১০ লাখ
হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ ছিল মিমের প্রথম ছবি। এই ছবিতে তিনি কত পারিশ্রমিক পেয়েছেন তা জানা না গেলেও এরপর ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবি থেকে তাঁর পারিশ্রমিক বাড়তে থাকে। ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নেন তিনি।
বুবলী
৮ থেকে ১০ লাখ
২০১৫ সালে বুবলী চলচ্চিত্রের অভিনয়ে আসেন ‘বসগিরি’ ছবির মাধ্যমে। তখন তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ২ লাখ টাকা। এরপর জনপ্রিয়তার রেশ ধরে তা উঠে আসে প্রায় ৫ লাখ টাকায়। বর্তমানে ছবি প্রতি তিনি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন বলে প্রযোজকদের দাবি।
মাহিয়া মাহি
৮ থেকে ১০ লাখ
২০১২ সালে দেড় লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে বড় পর্দায় মাহির যাত্রা শুরু হয়। প্রথম ছবিতেই দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যাওয়ার পর এই অঙ্ক প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠে আসে।
সাইমন
৫ থেকে ৮ লাখ
২০১০ সালে ‘জ্বী হুজুর’ ছবি দিয়ে সাইমনের বড় পর্দায় যাত্রা শুরু। তখন দেড় লাখ টাকা নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে ছবি প্রতি ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন।
ববি
৬ থেকে ৮ লাখ
২০১০ সালে ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন ববি। প্রথম ছবিতে ২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিলেও এখন তিনি প্রায় ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নেন তিনি।
আরও যারা
ফেরদৌস
একসময় ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিতেন। বর্তমানে চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থায় ৮ লাখ টাকাতেও অভিনয় করছেন ফেরদৌস।
বাপ্পি
২০১২ সালে প্রথম ছবিতে ২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেন। এরপর ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি। এখন অবশ্য ৭/৮ লাখ টাকাতেও কাজ করছেন।
জয়া আহসান
জয়ার পারিশ্রমিকের শুরুটা ছিল ৩ লাখ টাকা দিয়ে। বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি পারিশ্রমিক নেন এই নায়িকা।
মৌসুমী
মৌসুমী এখনো অভিনয় করছেন। বর্তমানে তিনি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।
শাবনূর
সর্বশেষ যেসব ছবিতে অভিনয় করেছেন ছবি প্রতি ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
পূর্ণিমা
সর্বশেষ ছবি প্রতি তিনি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
পপি
সর্বশেষ ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নিয়েছেন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা।
নুসরাত ফারিয়া
চলচ্চিত্রে নতুন হলেও পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন তিনি। শুরু থেকেই ছবি প্রতি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে কাজ করছেন ফারিয়া।