jatiobarta com
- ২৩ অক্টোবর, ২০২১ / ৩৪৪ বার পঠিত
প্রতিনিধি,পীরগঞ্জঃ
রংপুরের পীরগঞ্জে জেলেপল্লীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগে নেতৃত্ব দেয়া সৈকত মন্ডল (২৪) ও রবিউল ইসলাম নামের দু’জন কে ঢাকার অদুরে টঙ্গী থেকে গত শুক্রবার রাতে আটক করেছে র্যাব। র্যাবের ভাষ্য, ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য এবং মিথ্যা পোস্টের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেন সৈকত মন্ডল। ঘটনার রাতে একটি মসজিদ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন তাঁর সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। এর পরই হামলা চালানো হয় রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর কসবা জেলে পল্লীতে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
জানা গেছে, এস.এম সৈকত মন্ডল পীরগঞ্জ উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের রাশেদুল মন্ডলের ছেলে। সৈকত রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর দর্শণ বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এ বিষয়ে কথা হলে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার জানান, সৈকত কে গত ১৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। রবিউল ইসলাম বটের হাট জামে মসজিদের ঈমাম। সে খেজমত পুর গ্রামের মৌলবী মোঃ মোসলেম উদ্দিন বাবু। তিনি ঘোলা মতিয়ার রহমান বালিকা বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক।
শনিবার র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলছেন, ‘‘সৈকত মন্ডল আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে আসছিল। কুমিল্লার ঘটনার পর থেকেই সে নানারকম উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছে। ‘‘হামলার পেছনে গুজব ছড়াতে সে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। রবিউল ইসলাম তার এসব বক্তব্য প্রচারে সহযোগিতা করেছে, বলছেন মঈন। কমান্ডার মঈন আরো বলেন, আটক হওয়া সৈকত মন্ডল যে গ্রামে আগুন দেয়া হয়, সেই গ্রামের পাশের মসজিদে গিয়ে মাইকিং করে উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দেয় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সবাইকে জড়ো হতে বলে। পরবর্তীতে সে একজন আত্মীয়কে দায়িত্ব দেয় মাইকিং করার জন্য। সেই গ্রামের একটি উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে সবাইকে (হামলায়) নেতৃত্ব দেয়।