রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন-সংক্রান্ত সরকারি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটি। নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশকবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মিলগেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলগেটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেটে ৫৯০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৬১০ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ৬৩০ টাকা করা হয়েছে। প্রতি লিটার পাম সুপার (খোলা) মিলগেটে ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজধানীর মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, আগামী মাসে পাম ও সয়াবিন তেল উৎপাদনের মৌসুম।
উৎপাদন মৌসুমে সরবরাহ বেশি থাকে। এ জন্য দাম কমে আসতে পারে। তবে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে লিটারপ্রতি দুই থেকে এক টাকা কমে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত মজুত সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কোনো অবস্থাতেই নিত্যপণ্যের সংকট না হয়। এ জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজোর দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিয়মিতভাবে সভা করে ভোজ্যতেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হবে। টিপু মুনশি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন-সংক্রান্ত সরকারি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটি ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রি নিশ্চিত করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় কমিটি এ মূল্য নির্ধারণ করেছে। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলুু কুমার সাহা, বিএফটিআইয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (বাণিজ্যনীতি) আবু রায়হান আলবেরুনী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. সফিউল আফসার তাজলিম, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।